জলের শেষ দড়িতে বাঁধা


জলের শেষ দড়িতে বাঁধা
স্কিটজয়েড পার্সোন্যালিটি ডিজঅর্ডার হয়ে গেলে
মেয়েটি বোঝে না জীবনের তাপ উত্তাপ
বায়োলজিকাল ক্লক ঠিক না থাকলে
শরীরের তাপমাত্রা বাড়ে আর কমে।

তোমার ছোঁয়া লাগা শহরেই থাকি
এই শহরে হ্রদের জলে ফ্লোটিং জেটিতে ভিড়
জলের শেষ দড়িতে যেন বাঁধা পড়ে আছি।

বন্য সবুজের স্পর্শ সুখ নিয়ে আছি
নদীতে নৌকোগুলো ঢেউয়ের ছন্দে দুলছে
চোখ ভরে দেখি টলটলে জলের গভীর বিস্তার।
আহা! জলবিহারে কত না সুখ!
সাততালসহ তোমার শরীর মনের তাল
আমার শরীর মন বেতাল।

পাইন গাছের ঘন আস্তরণে ঢাকা পড়তে গিয়েও ফিরে আসি
যাওয়া হয় না পাখি প্রজাপতির খোলা আসরে।
জলের বুক ছুঁয়ে উড়ে যায় নানা রঙের বাহারি মাছরাঙা
আহা জীবনের পথ কত না আঁকাবাঁকা।

ঘাসে না ফুলে স্থির হবো
ঘাসে না ফুলে স্থির হবো সেটি আমার ব্যাপার,
হৃদয়শূন্য হৃদয়পথে হেঁটে ক্লান্ত হওয়া বুদ্ধিমানের কাজ নয় ।
অন্ধকার থেকে অন্ধকারে যাই
সূর্যোদয়ে যাওয়া হয় না আর বুকের গভীরে আর;
নেই জলের পরশ অথচ প্রেমের দাবি মিটিয়েছি আমি ঠিকই।

কোন দেশে থাকো তুমি মেয়ে
এই অন্ধকারে বসে কোনোভাবেই তা আঁচ করা সম্ভব নয়
অথচ এই বুকেই আঁকা-বাঁকা স্বপ্ন এঁকেছিলে তুমি;
এখন তোমার পরাণ অজানা এক পরবাসে।

জ্যোৎস্নায় প্রাসাদ গড়েছ তুমি হৃদয়ের তলদেশে
এখন আর জ্যোৎস্না নেই,
আমি কিভাবে যাবো তোমার জ্যোৎস্না বাড়ি:
পিরিতির পূর্ণিমায় যাবো সাত তাড়াতাড়ি।

ভালোবাসার প্রতিভা
ভোরের আলোর পথ ধরে হাঁটতে পারছি না আমি
সূর্যও তাকায় না আমার দিকে স্বাভাবিক চোখে
ভালোবাসার আহ্নিক গতি কোনো নিয়ম মেনে চলে
জানি না আমি।

কোনো রমণীর ছায়া আমার মাথার ওপর,
কিসের শোভা ছড়ায়?
তা-ও জানা হয়নি।
জীবনের নিয়মে নিরব থাকা কেবল,
হৃদযের নির্দেশে কে যে কোলাহল করে অবিরাম
সকাল আসতে না আসতেই এসে যায়
অপরাহ্নকাল
অথচ আমি হেসে উঠি অফুরন্ত রৌদ্রের তিমিরে
রাতের প্রখর জলে ভাসিযে নিয়ে যায়
আমাকে তবু
কোনো এক রমণী নিয়তির নিয়মে।

হৃদয়ের জ্ঞান না থাকায় ভালোবাসার চেয়ে
টোটেম প্রিয় মনে হয়,
কোনো এক দিব্য রমণীর আঁচলের খুঁট দেখতে দেখতে
আমার ভালোবাসার প্রতিভা হারিয়ে যায়।