ফেরা
জীবন অরণ্যময় ধূসর সুন্দরতা
ধরাছোঁয়ার আড়ালে
ভৌতিক কাটাতার বুকে গেঁথে
বেশ আছি…
কোথাও রাশভারি ঘনঘটা নেই,
গুরুগম্ভীর ভাবুক লোকারণ্যের কেউ নেই
ফিরবোনা আর
কথা দিলাম
নিঃসঙ্গ নক্ষত্রপুঞ্জ কাছে আসো নীল জোয়ারের মতো..
নিখোঁজ বিন্দু কণার খোঁজে আলতো আলের ঘাসে ঘাসে
বুক রাঙিয়োনা আর নিভৃতে
অবাঞ্চিত ধূলিমাখা প্রিয়তমা সুর
আদৌ কি কাঁদছো তুমি !
কাঁদছো কি আদৌ..!
যদিও কাঁদে কেউ..
কেউতো কাঁদেই…
ছলচাতুরিহীন নির্জন
দুস্প্রাপ্যতার ক্রন্দন রেণু
যুগান্তের বিলুপ্তি বার্তায় ভেসে
নৈঃশব্দতা মেখে
মুছে যায় স্মৃতি রোমন্থন কতো
পাখি প্রজন্মের সুব্রাহ্মণ ছাতাঝুরি
বুকে জড়ায়ে রাখি
লুকোচুরি রঙ মেখে
ফের যদি ফিরে আসি !
সত্যিই কি ফেরা হবে আর !!…
শব্দচারিনী
ধোঁয়াশার আড়ষ্ট কালিতে লিখে যাই
আচমকা ভেসে ওঠা থমথমে নির্জনতা-
তুমি এসেছো কি ফিরে ?
নক্ষত্র প্রজ্জ্বলন ঢেউয়ে ;
দূর আকাশ,ধূসর ভ্রান্তি নীল!
অন্তিম অসীম !
দূর নেপথ্যের বিস্তৃতি !
অসীমের অশান্ত বিচরনে ;
জীবনের দেউলিয়া তটিনী;
বয়ে নিয়ে চলে
পঁচা লাউয়ের খোলের মতো
ব্যাথা ভরা নির্জন উদ্যম-
বিগলিত বিচলিত বিদগ্ধ!
রুদ্ধদার হতাশা প্রলেপ-
জ্বলে উঠে করে নিস্তেজ-
হাতের ডানের ফাঁকা গলি ধেয়ে কে যেন আসে-
নুপুরের সুরেলা নিক্বন শব্দচারিনী!
তুমি এসেছ কি ফিরে?
কাল্পিক স্বপ্নঘোর-
সাদা কাফনে নির্ভার কাফেলা আসে;
নিমগ্ন কানন
সুরোত ছবেদা ফল;
ঘোর রুদ্ধদ্বার;
অযাচিত খেলে;
হৃদয়ের আরিপাতা অচেনা গলি;
কতো অচেনা!
কতো ক্রোশ ব্যাপি;
কতো রাত,কতোকাল জাগি;
কতো ক্লান্ত আমি!
বহুদিনের
সূচেনা সম্ভার;
তুমিহীনা হয়ে হারালো কোথায়
হারালে কোথায়?
অন্ধকার
অন্ধকারে হাঁটছি বহুকাল ধরে
অন্ধকারে গাই মৃতময়ী
অন্ধকার পায় দূর নক্ষতের মতো
আমিও তারে
অনন্তকালের অর্থহীন ঘোর লাগাতার নিঝুম শব্দের মতন
জীবনের তৃষ্ণা মিটছে সরাব সাগর।