চিঠি
আজ বাবা অঙ্ক শেখাচ্ছিলেন।
বললেন ধরো, ডালে বসা দুটি পাখি থেকে
শিকারির গুলিতে একটি পাখি মরে গেলো,
তবে বেঁচে থাকলো কয়টি পাখি?
অঙ্কের বদলে এই মন চলে গেল
বেঁচে থাকা নিঃসঙ্গ সে-পাখিটির দিকে,
আর মনে এলো তুমি আজ স্কুলেই আসোনি।
সংবেদনা
দল বাঁধিয়াছি কালো চোখের অক্ষরে।
পরিচয় দিবসের ঘ্রাণে
সংবেদনার রক্তে আমি জবুথবু, মহাকাল,
লাজুক ধানের মতো ছাত্রী ভেসে আসে।
বই খাতা হাতে
রুল-করা আকাশের দিকে চোখ, আর,
একটি মাছ ভালোবাসে একটি পাখিকে।
দুঃখ
রাতের প্রতিভা-কণা তুমি
কত না সহজে তুমি খেয়ে ফেলো ভোর।
ভোরের আলোতে শ্লোক ভেঙে
লোকালয়ে নেমে আসে বাঘ।
দুঃখকে লুকিয়ে রাখি আমি
রক্তের ভেতর,
আর বলে ফেলি, মামা,
আমাদের ঘরে কোনো হরিণ ঢোকেনি।
ফার্ন
তুমি খুব জাসদের মতো দৌড়ে এসে
ফার্ন উদ্ভিদের মতো বসে আছ পুকুরের তীরে।
বাদলি করেছে মনে ঘনঘোর স্পাইরাল-দিনে।
আমি এ অঞ্চল ঘুরে, তোমাকে খুঁজতে,
অপ্রাপ্তবয়সের ন্যায় রাঙা কোনো
সূর্যাস্তে নেমেছি।
যদি নাম-নিদ্রাসহ ভেসে উঠি আজ
উড়ন্ত স্কুলের পাশে, জলে?
পরস্পরকে কী নামে ডাকতাম মনে পড়ে?
রাত্রে, তোমার ধূসর গ্রন্থে রাখি হাত,
অন্ধ পৃষ্ঠাগুলো ছিঁড়ে নিয়েছে কে?
আহা! অপ্রাপ্তবয়সে তুমি চিঠি দিয়েছিলে।
পায়ে বাঁধা দুটি সর্বনাম
নিচু এ কৌতুকে আজ মজে গেছে মন
বিস্তৃত অনাগ্রহের প্রতি উড়ে এলো মেঘ
তোমাকে জড়িয়ে ধরে মনে হলো ধান
মনে হলো উৎসব: জন্ম ভেঙে
. দূর দূর অন্ধ দ্রাঘিমায়
নিচু ক্লাসে পড়ো! আহা!
চুলে এত রৌদ্র-কুমকুম, চোখ যেন সমুদ্রপৃষ্ঠা,
টেনে নাও আমাকে তোমার ছত্রে ও ছায়ায়
পায়ে বাঁধা দুটি সর্বনাম, পাখি উড়ে যায়…