তুমি ও সে
সামাজিক বয়ন ও বিন্যাস মেনে বা টেনে
যুতসই কি’বা টেকসই এক সম্পর্কের জন্য
স্বাধীন শব্দের ফোঁস নামিয়ে এগুতে হয়।
সম্ভব হবেতো বন্ধনের চক্কর বা
তওয়াফ ঠিক রেখে ক্রমেই এগিয়ে যাওয়া?
‘তুমি ও সে’ মানে
নিউক্লিয়াসকে কেন্দ্র করে সম্পর্কের ইলেকট্রন…
ঠিক মহাবিশ্বের
প্রতিটি নক্ষত্র-গ্রহ-উপগ্রহের মতোন।
সম্পর্ক তো ঐশ্বর্য ও বিপর্যয়—
কী আশ্চর্য, বন্ধন—বান্ধন ছাড়া
আমি কোনো কিছুই দেখি না…
সম্পর্কের তুমি ও সে জয়ী হোক।
আলো কালো একটি বিড়াল
বিজলি ভাঙার সুবিস্তীর্ণ জলধি প্রান্তর
সুশোভিত মনোমুগ্ধকর ঝিলমিল
নীরবে নিভৃতে দেখি একটি বিড়াল;
বিড়ালের অপলক চোখ, মেউ মেউ ভুলে গেছে!
নিস্তব্ধতা; রাতের তরঙ্গে দূরত্বের
স্বরগ্রাম বুঝে কবিতার পাঠ এক নিভৃত হৃদয়
আশপাশ আলোকালো
মায়াবী রুমালে চোখের ঝাঁপসা মুছে
নিজেকে কী বলে কী যে বোঝে
এ বোঝাই বড় বেশি দায়!
ঘৃণার বিপরীতে একটি গোলাপ
ঘৃণাভরা থুতুমাখা স্বভাব কথারা—
স্বভাবের এই কোনো ভালো কিছু নয় !
বে-বুঝ বেভুল; কালের কলহ থেকে
চতুর সমীকরণে পথ আঁকে ঘৃণার থুতুয়;
থুতু মিশে যায়, শুষে নেয় মাটি—ধূলো…
ধূলো শুকিয়ে আবার ঘৃণা কণা কণা
উড়ে উড়ে বায়বীয় ছড়ায় অজানা;
বেশুমার ভুল থেকে ছেয়ে যায় ভয়াল অসুখ !
ঘৃণাভরে থুতু ছিটোনো স্বভাব—
স্বভাবের এটা কোনো ভালো কিছু নয়!
বিপরীতে আছে প্রাণ অলক্ষ্যে দাঁড়িয়ে;
হৃদয় পরাগরেণু সুবাস ছড়ায়
ভালোবাসা মেলে ফোটে একটি গোলাপ
ভয়াল ঘৃণার ঠিক বিপরীতে ফুটেছে গোলাপ;
যার জীবনের কিছু ব্যথিত সময়
তার থাকে কষ্ট-নীল—কাঁটার নীরব উপমায়!