স্বপ্নভাষা বর্ণমালা
নিঝুম নিশ্চুপ কাল একুশের প্রথম প্রহর
সালাম রফিকহীন সময়ের করছি বয়ান
যারা ছিলো এভূমিতে উৎসমূল আদি অন্তপ্রাণ
সুখবর বিলিকরে ঘুমিয়েছে ক্লান্ত এ শহর
এখন জোহাক কাল তাই আলো ধার করে চলি
স্বপ্নভাষা বর্ণমালা মৃতপ্রায় সাহসী অক্ষর
কবিতা লিখতে গেলে তাওনাকি দিতে হয় কর
ভাষার মমত্ববোধ হ্রাসহলে কষ্ট কথাবলি
বসন্ত সুভাস মাখা জনপদে মৃত ডলফিন
হায়নার লালচোখ আজো আছে ঠিক তবিয়তে
সৌহার্দ্য বাজারজুড়ে নানাজন বলে নানামতে
জননী খুঁজছে আজো শহীদের হারানো কফিন
মশাল আলোক ঋণ অধিকারে করায়ত্ব কাল
ভাষার মুক্তির দিনে সবুজাভ হিজল তমাল।
শহর ঘুমিয়ে রেখে
আমরা ভ্রমণে আছি প্রিয় কবিকুল
জলযানে মেঘমাখা আকাশের নিচে
শহর ঘুমিয় রেখে সব ফেলে পিছে
ঐতিহ্যের চাঁদপুরে পৌঁছাতে ব্যাকুল
স্মৃতির শহর এক ইলিশের বাড়ি
মেঘনার মোহনায় অনবদ্য রূপ
নদির শরীর ভাঁজে ইলিশেরা চুপ
জলপথ জলরাশি দিয়ে এসে পাড়ি
কত গুণী-মহাজনে ধন্য এ নগর
দোনাগাজী, জাহানারা, নাসির উদ্দীন
বাঙালি জাতির আছে কত কত ঋণ
ইতিহাসে এক নাম চাঁদ সওদাগর
ভালো থেকো প্রতিবেশী ডাকাদিয়া নদী
অতীত পেছনে ফেলে চলো নিরবধি।
হায় হায় কারবালা
সত্য -সুন্দরের জন্য শহীদ যে বীর
কখনো করেনি নত তার উঁচু শীর
খোদার আদেশ তরে
সমগ্র জীবন ভরে
প্রাণপণে লড়েছেন ফোরাতের তীর
হায় হায় কারবালা হায় হায় খুন
এজিদ বংশের প্রতি ঘৃণার আগুন
অতীত পেছনে ফেলে
সবকিছু ভুলেগেলে
তোমরাও খেয়েছিলে রাসুলের নুন
আমাদের চোখে আজো জল ছলছল
তোমরা কী করে করো এতো কোলাহল
ন্যায়ের শাসন ভুলে
জালিমকে কোলে তুলে
সাময়িক লোভহেতু নাচিছো সকল
চেয়ে দেখো ইয়াজিদ এখন কোথায়
ইতিহাসে তার নাম কতো অসহায়
পাপযতো হোকজমা
পৃথিবী করেনা ক্ষমা
একদিন জালিমেরা হবে নিরুপায়