বৃষ্টি মেয়ে
ইচ্ছে করে মেঘ হয়ে যাই
অঝোর ধারায় বৃষ্টি নামাই,,
বৃষ্টি ঝরছে টাপুর টুপুর
সুরটা যেন বাজায় নূপুর।
বৃষ্টি মেয়ে,একটু দাড়া,
তুই কি নাচিস ছন্দ-তালে
আসিস কেবল বর্ষাকালে!
বাবা
বাবা আমার ঘুমিয়ে আছে
ছোট্ট মাঠির ঘরে,
কত ডাকি বাবা বলে
কাতর স্বরে।
আমার ডাকে দেনা সাড়া
সে কী অঘোর ঘুম,
স্বপ্নে দেখি বাবা আমার
চুপিচুপি দিয়ে গেল চুম।
বুকের ভেতর শান্তির পরশ
কতো শত মায়া,
আজ বাবা নেই বলে
মাথার উপর নেই কোন ছায়া।
ইলিশ ভাজা
ময়না আমার বায়না ধরে
খাবে ইলিশ ভাজা
এ মাছের খুব সুনাম আছে
ইলিশ মাছের রাজা ।
কিন্তু ভীষণ দাম
শুনলে ঝরে ঘাম
কী করে যে মান ভাঙাবো
ছোট্ট ময়নাটার
ছড়া দামে কিনতে হল
উপায় নাই যে আর ।
ইলিশ হাতে ময়না দেখে
বায়না গেল ভুলে
খুশির জোয়ার উপচে পড়ে
বেনি কাটে চুলে ।
মা ভেজেছে ইলিশ ভাজা
আহা ভীষণ ঘ্রাণ
ইলিশ ভাজা গরম ভাতে
জুড়িয়ে গেল প্রাণ ।
লাড্ডু খাজা
রঙ মেখে সঙ সাজা
মজা খুব মজা
তার সাথে থাকে যদি
মচমচে খাজা।
খাজা নয়, খাজা নয়
লাড্ডুটা চাই
এই নিয়ে কাড়াকাড়ি
খাই-আর -খাই।
একুশ
একুশ আমার কথার বাগান
একুশ আমার সবুজ ছায়া,
একুশ আমার সূর্য রাঙা
অপূর্ব এক ভোরের মায়া।
একুশ আমার ভোরের পাখি
কিচির মিচির সুর -কলরব,
একুশ আমার মায়ের হাসি
এভাতফেরীর রঙিন উৎসব।
একুশ আমার লাল সবুজের
উড়তে থাকা বিজয় নিশান,
একুশ আমার বিশ্বজয়ের
অর্পূব এক জমকালো গান।
একুশ আমার ছন্দ ও গান
একুশ আমার রূপ – কবিতা,
একুশ আমার আকাশ জুড়ে
জ্বলতে থাকা এক সবিতা,
একুশ আমার সবটা জুড়ে
ফুটে থাকা চেতনার ফুল,
একুশ আমার বিজয়ের বীজ
একুশ হলো মুক্তির মূল।
একুশ আমার একুশ তোমার
একুশ হল সব বাঙালীর,
একুশ শেখায় নত যেন
হয়না কভু উন্নত শির।
এই পতাকা
এই পতাকা স্বপ্ন আঁকা
বীর বাঙালীর রক্ত মাখা
দীপ্ত তেজে সামনে হাঁকা
যুদ্ধ জয়ের চিহ্ন আঁকা ।
এই পতাকা মায়ের আঁচল
বোনের চোখের অশ্রুজল।
এই পতাকা মুক্তির তান
বীর শহীদের শ্রেষ্ঠদান ।
বৃষ্টিধারা
সবুজ পাতা নড়েচড়ে দেয় পাখিরা শিস
বৃষ্টি পড়ার শব্দ কানে করে যে ফিসফিস।
মেঘ কাঁদিয়ে বৃষ্টি নামে রিনিঝিনি সুর
ইচ্ছে নদী পাড়ি দিয়ে ছোটে সমুদ্দূর।
রিম ঝিমঝিম বৃষ্টি পড়ে বগার বিলের মাঠে
অর্থে জলে তা থৈ থৈ মাছরা সাঁতার কাটে ।
তাই না দেখে ঢিল ছুঁড়ে দেয় দুষ্টু ছেলের দল
চতুর্দিকে জলের ধারা করছে টলমল।
পিছুটান
শাল বনে চাঁদ উঁকি মেরে থাকে,
পাহাড়ের চূড়াটি হাত নেড়ে ডাকে।
সমুদ্র ডেকে বলে, আয় খুকি আয়,
আকাশের নীল রঙ ডাকে নিরালায়।
নদীরই ঢেউ ডাকে খল খল হেসে,
সবুজ মেয়েরা ডেকে যায় ভালবেসে।
রাখালিয়া সুর ডাকে মোহনীয় টানে,
নৌকার মাঝি ডাকে ভাটিয়ালি গানে।
ডাকে পাখি, ডাকে ফুল, ডাকে প্রজাপতি,
ডেকে যায় অবিরাম হীরা -মণি -মতি।
হাওয়ারা ডেকে বলে, চলো,উড়ে চলি,
গঞ্জ -শহর -নগর সব অলিগলি।
হরদম ডেকে যায় আরো কত প্রাণ,
নীড়ে ফিরি পিছে রেখে সেই পিছুটান।
মা আমার মা
মা যে আমার সুখের আকাশ
মনটা স্নেহ ভরা
মা যে আমার ভালবাসার
অসীম বসুন্ধরা।
মা যে আমার অমূল্য ধন
সোনার চেয়ে দামি
মনের খবর মা জেনে যান
মা যে অন্তর্যামী ।
মা যে আমার এক পৃথিবী
ভালবাসার ডালা,
মা যে আমার হীরা পান্না
মা যে গলার মালা।
মা যে আমার সব সুখেরই
একমাত্র মূল,
মায়ের সাথে এই পৃথিবীর
হয় না কারো তুল।
পরিবেশ দূষণ
শব্দ দূষণ বায়ূ দূষণ
আবর্জনার শহর
চলতি পথে কষ্ট ভীষণ
শুধু গাড়ির বহর।
ভরাট নদী খাল বিল সব
করছে মানুষ দখল
ভাবছি কেবল এ সূচনায়
কোনটা আসল নকল।
এ যদি হয় শহরগুলোর
সব অবস্থা করুণ
মূলটা কোথায় আমজনতা
জীবটা টেনে ধরুন।