শবরী
জানিস বিশাখা সই হয়েছিল মলিন বাসনা
সেকথা কাহারে কই ভালোবেসে শুধাই সকল
আমার নাড়ির কথা প্রাপ্তির ফাগুন জোছনা
মুহূর্তে আপন করি পরস্পরে প্রত্যয়ে বিরহে
বাতাবি সৌরভ সেতু বেধেছিল নীরবে নেপথ্যে
আকাশ আলোয় চেনা উদাসীন হৃদয়ে দোঁহারে
অমোঘ নিয়তি হায় গতিশীল নেশার ধুলোয়
লাফিয়ে লাফিয়ে চলে রূপান্তর সময় ঈগল
এভাবে মেঘেরা এলো কখনযে আকাশ কালোয়
গৌরবে হাওয়া নড়ে জানালায় গোপনে নিভৃতে
নতুন বাতাসে দেয় দোলদোল ভোরের শিশিরে
লাবণ্য পড়ছে ঘোর অন্তহীন গীতিতে প্রীতিতে
মোজার্ট বহিছে বুকে সমীরণে প্রকাশ্যে উচ্ছ্বাসে
রূপসী সখীরা শোনো কান পেতে হৃদয়ে গভীরে
অবেলা আমার বেলা সমাচার নিশ্বাসে প্রশ্বাসে
শবরী কমলা এক মনোরথে সমুদ্রে তরঙ্গে
শুধুই শাশ্বত নীতি অপ্রকট শতাব্দী ব্যাপিয়া
খেলিছে বসুধা কালে মহাকালে নিরালা মৃদঙ্গে!
বসুধার দিনকাল
পৃথিবী জেনেছে রাতদিন
প্রতিভা আস্তানা লালনীল
মাটিতে ফসলে তোড়জোড়
মানুষে মানুষে কারবার
উপেক্ষা অপেক্ষা রোজকার
সকালে বিকেলে দেয় ছুট
কামনা বাসনা মনচাষ
দলিত মথিত হাঁসফাঁস
ফিরোজা চুমুতে নীলঘাস
আঁখিতে আঁখিতে ছলছল
দালানে কোঠাতে দিনভর
পশুরা শিশুরা কলকল
ভৈরবী জানালা গায় গান
কাগুজে খবরে সাবধান
সমুখে পেছনে কারবার
নিয়েছে ছিনিয়ে বারবার
গোপনে প্রকাশ্যে গিজগিজ
আছড়ে পড়েছে ফিসফিস!
দুঃস্বপ্ন বনাম সবুজ তীর্থ
দরোজা খুলি তুমি এসেছো ভেবে
খুলে দেখি কে বা কারা শতবর্ষী গাছ
এনে স্তূপ করেছে বাড়ির আঙিনায়।
বলিষ্ঠ তরতাজা ডালগুলো
সবুজ শ্বাস বুকে নিয়ে কাতরাচ্ছে!
কাণ্ডের আগামাথা দিয়ে ঝরছে কান্নার জল!
ওরা সবুজের ঘন নিশ্বাসের বুকে করাত চালিয়ে ভেঙে দিলো তীর্থ!
শেকড়ের নাড়ীভুঁড়ি টেনেহিঁচড়ে জঙ্গল সাফের নামে
দমের বাড়ি সাফ করে কথিত কল্যাণসমিতি।
ওদের অনেক কাগজের কচকচে নোট চাই!
প্রকৃতির বুকে বুলডোজার চালানোর অনুমোদন চাই!
প্রাকৃতিক অমূল্য অক্সিজেন নয়,
মহাব্যক্তিগণ চায় পকেট ভর্তি বাড়িগাড়ি
হাসপাতাল অবাধ অর্থের পাহাড়!
জেগে ওঠো পুরাণপুরষ,
জেগে ওঠো তারুণ্য ওদের অমানবিক হাত গুঁড়িয়ে দাও।
চলো প্রিয়তম ব্যারিকেড দেই
হাতে হাত রেখে মহাযুদ্ধ ঘোষণা করি আমাদের প্রকৃতি রক্ষার!