বিড়ালগুলো টেবলেট চোষে


বিড়ালগুলো টেবলেট চোষে
মানুষের পৃথিবীতে অমানুষের চাপে
নারী,পুরুষ,শিশুর চরিত্রে হাসে
কাসুন্দিমাখা ছন্দের দোল!

ভূগোলখোলা চরাচরে মানুষের নৃত্যে
পশুপাখি গান ধরে বেহায়াসুরে
কীটপতঙ্গের আসরে বাজে ঢোল।

মানুষের ঘাড়ে বসে কুকুরগুলো হাসে,
বিড়ালগুলো টেবলেট চুষে
উন্নয়নের আঁকে না নকশা

কাহারে শোধাবে কে!কাহার সংসারে
বললে দালাল- ক্ষেতখামারে
ইঁদুরগুলো বসায় জলসা।

ঝিঁঝিঁ পোকার চিৎকারে নড়ছে তথ্তশালা
ভেঙে চলেছে রাজপ্রাসাদের রঙ্গশালা!

কুমড়োডগায় মধ্যবিত্ত!
জলপাই রঙের গ্রেনেড আমার- পছন্দের
শিল্পের শোকেস ভাঙতে এসেছে কবিতার!
মানুষের সংসারে আকাশের বিশালতায়
দেহের কার্ণিশ ভেঙে চলে হিংসার বসবাস!

জাগতে আর জাগাতে লাগে অঙ্গুলির নির্দেশ
সবুজের মায়ায় জাগে রাতের অপার সংসার
প্রকৃতির আস্তর খসে জন্ম নেয় মায়াহীনতার
কুমড়োডগায় দেখি মধ্যবিত্তের রঙহীন শোকেস!

সময়ে ডেকে যাওয়া কাকগুলো একেকটা প্রতিবন্ধী
চশমার ফ্রেম খোলে দেখতে যদি জলহীন আর্তনাদ!
দাঁতে দাঁত চেপে হিসেব পেতে বেহায়া সময়ের ছন্দে
কুঁড়েঘরগুলো জড়ো হচ্ছে ভেঙে দিতে সব দূর্ভিসন্ধী!

রাতের শরায় দিনের বিজয়, সকাল হাসে বিকেল চোখে
গাছেরা নিরব হলে সময় ধেয়ে আসে প্রতিশোধি বুকে!

মনুষত্ব্যের বিয়োগ
ফুটফুটে সুন্দর কুকুরের বাচ্চার হাড্ডি বড্ড মজা
হোক সেটা কাচ্চি বিরানি, হোক সেটা ভূনা!

জিহ্বার স্বাদের কাছে মনুষত্ব্যের বিয়োগ
বিশ্বাসের পূনর্জন্ম
ন্যাচারাল পার্লারে মুখ থুবড়ে পড়ে সম্পর্ক!

বাতাসে মৃদুগন্ধ ভাসে, আস্থার ফানুস ছিঁড়ে
রগচটা দামের কাছে রমজানও হাসে
না শোনে ধর্মের কেতাব, না শোনে হাহাকারের ধ্বনি!

চশমার ফাঁকগলে তোদের সবার চেহারা ভাসে
গণভবন, বঙ্গভবন – মিহিসুরে হিসেব মেলায়
অদৃশ্যের বাতাসার ডানায় দেখি ডকট্রিন হেক্টর!

মৃত্যুর বিছানায় শুয়ে তোরা একেকটা বেওয়ারিশ পশু!
বন্দে মাতরম ধ্বনির কোলে কৃচ্ছতার ছাই উড়ে
ভেঙে দিতে আজন্মের ইচ্ছেজাগানিয়া!

পাখিদের পৃথিবীতে আনন্দ গড়ে
পোকামাকড়ের সংসারে আঘাত শেষে
এসো বন্ধু গীত ধরি সুন্দরের ছাতাটা মেলে।