লাল সেঁকো চোখ
বসন্ত আসে শীত শীত পায়
টুনটুনির মা কি আসে যায়
রুটি নেই তবু ছুটি নেই তার
রক্তিম চোখ কর্মকর্তার
হোকনা তুফান ঝড়ঝঞ্ঝা
মড়ক মন্তর অকাল বন্যা
ঢুলুচোখ আর ক্লান্তিকর ঘামে
পড়ে থাকে বেদনার জ্বালে
স্বপ্ন বুনে নিত্য দিনের গল্পসল্প
ভাসবে হাজার রঙের চিত্রকল্প
শাসক শোষক এর বেড়াজাল
অনাদরে ঝড়ে যায় বসন্ত কাল
এ নিদারুণ ককষ্টের ইতিহাস
জানে গাছ গাছালী আর পথ ঘাট
কত দিন দেখেনি তারা ভরা রাত
অবাক জ্যোৎস্না ভরা মিষ্টি চাঁদ
তবুও লালন করে নতুন দিনের গান
আগুনে ফাগুনে আসুক নতুন প্রাণ
অন্ধকার সন্ধিহান ভরা পথ ঘাট
কবে শেষ হবে এই ক্ষুধাতুর রাত
কফিহাউসের আবছায়ায়
এক তুলতুলে নিগূঢ় সন্ধ্যায় কফি হাউজে দেখা হয়েছিল
কাঁচা হলুদের মতো আভা ছড়ানো তোমার শরীর জুড়ে ছিল
মেজেন্ডা রংয়ের শাড়ি
দারুন মানিয়েছিলো, দিব্যি করে বলছি
অপলক তাকিয়ে ছিলাম।
আবছায়া ঘেরা মিষ্টি মজমার পূর্ণিমার আলো গড়িয়ে
তোমাকে আরও সাজিয়ে তুলেছিল। যেন
গুচ্ছ গুচ্ছ শ্বেত অম্বর ভেসে যাচ্ছে দিগন্ত থেকে দিগন্তে
সে পথচলায় তর্জনী ছুটছে আগামী দিনের ভবিষ্যতে
বসন্তের ফুরফুরে হাওয়ায় কৃষ্ণচূড়ার ফাগুন আগুনে
যেনো পুড়ে যাচ্ছে প্রিয়তমা তোমার ঠোঁট
হঠাৎ গুনগুনিয়ে উঠলে, আর তোমার লাল ঠোঁট
হয়ে উঠলো সমঅধিকারের প্রজ্বলিত মশাল হয়ে
বর্ণালী স্বপ্নগুলোকে, আশা আকাঙ্খা বাস্তবতাকে
ভরিয়ে তুললো অন্য আবেগে
বেখেয়ালি মন আমার ছুটতে ছুটতে আরও পেছনে
পেছন থেকে পেছনে সেই যৌবনে, সেই কিশোরবেলায় নিয়ে গেল
যেখানে তুমি আর আমি, আমি আর তুমি…
এখন তুমি আমি অনেক দূর
ভিন্ন অর্থে দু‘জনে দুই কূল
উর্বর ভূমি
ধোঁয়াশা কুয়াশায় কাধেঁ নিখিল বলায়
অমল রোদ্দুর এখন বড়ই ক্লান্ত
পথের মাথায় সব গাছকে বানায় যিশু
দুর্বল মানব, রত্ন ভেবে সেবায় মগ্ন
পালসি ছাড়া মহীরুহকে করে ক্ষত বিক্ষত
চাতক দলকানা আর পরগাছা
ভাবি উড়োখোল পাখির মত উড়তাম
মুগ্ধতা ছড়াত স্বর্গের ফুল কন্যা
এখোন ও চিরচেনা পথঅজানা হয়
আজও সোচ্চার দূষিত দানবরা
নিউরনের মত জলপ্রপাত করে স্তব্ধ
সভ্যতা করে হত্যা বহায় রক্ত গঙ্গা
ওরা কলকে,তে গনগনে আগুন সাজায়
পাঠশালার স্বরলিপির দেয় বলি
প্রেত ভূমির পাশে বসে বাজায় ঝুমঝুমি
তিব্র লিস্পা আর দস্যুর প্রবৃত্তি
সফেদ চাদরের ভেতর উঠে দাঁড়াব
প্রতীক্ষা নয় খুলে ফেলব দস্তানা
জ্বলন্ত লাভায় ভস্ম হবে প্রভুর ছলকলা
শান্তি আসবে ফুটবে লাল কৃষ্ণচূড়া
কালজয়ী নজরুল লালনের সঙ্গীত
উদ্বেলিত স্পন্দন মিটায় আকাংখ্যা
কোজাগরী রাত অবাক জোসনা বাহাশ করে
পায় উর্বর ভূমি মুছে যায় আবর্জনা
দুঃখগুলো চড়া
বৃষ্টি ধরছে ঝিরিঝিরি
তে মোড়ে ঐ কদম আলী
ভ্যানে ভর্তি সবজি হরেক
পকেটটা তার খালি।
চারিদিকে নিম্নচাপে
নেই ক্রেতার দৌড়ঝাঁপ,
পাখপাখালি হাট ঘাট নীরব
নেই বেচাকেনায় চাপ।
জীর্ণ শীর্ণ জীবন আজি
ধুয়াশাতে ভরা
স্বপ্নগুলো যায়না ছোঁয়া
দুঃখগুলো চড়া।
বর্ষণ চলছে অঝোর ধারায়
ভয়ার্ত এক তুফান
অমানিশাতে ভরা
জীবন যেন খান খান
দমকা হাওয়ায় প্রকৃতি আজ
অগ্নি রুদ্রমূর্তি
মুষলধারে বৃষ্টির কষ্টে
জীবন যেন পূর্তি।
পানি বাড়ছে হাটে ঘাটে
মেঠো পথে প্রান্তরে
পানি বাড়ছে কদম আলীর
চোখে ও তার অন্তরে।
নেই দাঁড়াবার জায়গা আজি
কদম আলীর দুখের দিন
জীবন আজি থমকে গেছে
ডাঙার উপর যেমনি মীন।