আজব লোক ও অন্যান্য


বিড়ালের অভিযোগ
আমরা বিড়াল তোমরা মানুষ
সমস্যা কী তাতে?
এই আমাদের টানছো কেবল
মন্দ উপমাতে!

ভণ্ড সাধু লোককে চেনাও
‘ভিজে বিড়াল’ বলে,
কিংবা ‘বিড়াল তপস্বী’ও
রাখছো এদের দলে।

বলছো আবার ‘বিড়ালকে মাছ
বাছতে দেওয়া’র কথা,
সবটা শুনে আজ নিজেরা
ভাঙছি নীরবতা।

ভাগ্যজোরে হয়তো শিকে
পড়তে পারে ছিঁড়ে,
সেই সুযোগে না হয় ছুটি
একটু ধীরে ধীরে।

কে বিড়ালের গলায় এসে
ঘণ্টা দেবে বেঁধে?
দেখাও এমন চরিত্রকে
নানান ব্যবচ্ছেদে!

আর আমাদের স্বভাব নিয়ে
চাই না টানাটানি,
নইলে হঠাৎ বেরিয়ে যাবে
‘থলের বিড়াল’খানি!

আজব লোক
তিলকে করে তাল কখনো
তালকে করে তিল,
সাদার বুকে আঁধার ঢেলে
লালকে বানায় নীল।

লাফিয়ে ছোটে গুলশানে আর
দৌড়ে মাতিঝিল,
একটা সোজামিলকে সাজায়
ভরিয়ে গোঁজামিল।

চিমটি দিয়ে হাত সরাতে
খায় কখনো কিল,
ঠিক সময়ে ঘুমিয়ে পড়ে
আটকে রেখে খিল!

নতুন দিনের ছক
কী করেছি কী করিনি
কী করতে পারতাম!
কী ধরেছি কী ধরিনি
কী ধরতে পারতাম!

ভাবছি বসে বসে।

কী শিখেছি কী শিখিনি
কী শিখতে পারতাম!
কী লিখেছি কী লিখিনি
কী লিখতে পারতাম!

ভাবছি কলম ঘষে।

কী খেয়েছি কী খাইনি
কী খেতে পারতাম!
কী পেয়েছি কী পাইনি
কী পেতে পারতাম!

ভাবছি অঙ্ক কষে।

কী করবো এই নতুন দিনে
ছক হাতে ধরলাম-
স্বপ্নের দিন মুঠোয় নিতে
কাজ শুরু করলাম।

মানবজমিন চষে।

কোথায় মানবতা
বিশ্বজুড়ে মানবরূপী
বন্য কিছু নাচছে,
হিংস্রতাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে
রক্ত গিলে খাচ্ছে।

রক্তে ভেজা ‘গাজা’র মাটি
মিয়ানমারে কান্নাকাটি-
এমনি আরও কত স্থানে
দানবরা লাফাচ্ছে!

কেউ না দেখার, কেউ না শোনার
ভান করে ঝিমাচ্ছে।
পায়ের নিচে মানবতা
আজ শুধু কাতরাচ্ছে-

কান্না করে যাচ্ছে শুধু
কান্না করে যাচ্ছে।

খুকির হাতে
খুকির হাতে
একটি ফুল,
ফুলটি নাচে
দোদুল দুল।

কেউ বাড়ালে
সামনে হাত,
জুটবে খুকির
একটু ভাত।