জলডানার কানাইল যাবে ডাকাতিয়া মুখে


মন শিউলির বনে
আমার প্রার্থনা এই আষাঢ়ে শ্রাবণে গলে যাচ্ছে
অথচ জানে না কেউ, কামনায় তুমি!
নির্ভুল প্রর্থনা, যার আছে একটি আয়ত্ত ভাষা
সহসাই ঘরের টিনের চালে
প্রার্থনার অভিণ্ণ কোরাস—
মেঘলা দিনের সুপ্ত ইচ্ছাগুলো দুলে ওঠে, নুয়ে
ওঠে পাশে বাঁশবন…

ডিঙ্গির আদলে ভাসে মন
ভাসাপথে অজানা অচেনা…
তুমুর ঘোরের মধ্যে থেকে যেতে থাকি
যেতে যেতে হয়তো
কোথাও
শাপলাজলের সম্মোহন!

কিছুটা আপ্লুত হই;
নাহ, ওসবে কিছুই কিছু না
আমার প্রার্থনা এই আষাঢ়ে শ্রাবণে গলে যাচ্ছে
এ কথা জানে না কেউ, কামনায় তুমি!

জলডানার কানাইল যাবে ডাকাতিয়া মুখে
সবুজে দোলায়—কিষাণের মন, বাতাসের স্বর
কেহ ছেড়ে যায়—দু’চোখের সীমা, দূর-দূর পর…
এক পাশে বসে—ভ্যানগগ আঁকে, পরিবেশ মন
রঙ, তুলি ও সে—মরমে এঁকেছে, নদীর জীবন…
আমার যে নদী—মরেছে সেকালে, ঢেউ-ফেনা মুছে
কোথায় জলধি—চোখের কোটোরে, নোনা ব্যথা সুঁচে

শতাঘাত হানি—বিবেকের কাছে, অদেখা আসরে
পাহাড় চুঁয়ানী—জলডানা পাক, এই চরাচরে…
এপার-ওপার—সাধু সাড়া দাও, ডাকাতিয়া ডাকে
কানাইল তার—জলজে জাগুক, ফুলে বাঁকে বাঁকে…

দূরগামী চোখের আলাপ
দূরগামী দুই চোখ এক হলে
একমনে কথা কও সমূহ-আলাপে
আমিও তাড়িত হই
আলাপে অদৃশ্য ক্রিয়া—অসমাপিকা ও সমাপিকা…

দূরদেখা সেই চোখ ঘোরলাগা বিপুলে বর্ণিল
ইতস্তত মরমের মধ্যমণি
সৌম সমর্পণে ঠিক-বেঠিকের…
বাক ও ভাবের ভঙ্গি মাদকতা যত
পরাণে পরমা মাতো অবিরল সুনিপুণ!